অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন সেই সম্পর্কে আপনি কি বিস্তারিত জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। চলুন তাহলে আর দেরি না করে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন আজকের আলোচনার মূল বিষয়।অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন এর সবথেকে সহজ টেকনিক এবং সহজ মাধ্যম গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন - সেই সম্পর্কে জেনে নিন।
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন তার জন্য আপনি কি
চিন্তিত? না কারণ আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। বর্তমান আমরা কম বেশি সকলে ফোনে
বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। তবে আমাদের অনেকেরই প্রয়োজন পড়ে কিছু অ্যাপস
ফোনে চিরস্থায়ী ভাবে সেট করে রাখতে চাই কারণ আমরা কখনো ভুল করেও যাতে
অ্যাপসটি মুছে ফেলতে না পারি। এই ক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ বানানো আমাদের খুবই কাজে
আসে যাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমে আপনাকে সিস্টেম অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে সিস্টেম অ্যাপ
হচ্ছে এমন একটি অ্যাপ যা সাধারণ অ্যাপ থেকে অনেকটাই ভিন্ন যেগুলো ফোনের
অপারেটিং সিস্টেম এন্ড্রয়েড সিস্টেমের ভিতরে থাকে যেমন ফোন ফোল্ডার ,
মেসেজ ,সেটিং , গ্যালারি , ক্যালকুলেটর ইত্যাদি, নিশ্চয়ই প্রিয় পাঠক আপনি
জানেন এগুলো ফোন থেকে ডিলেট করা যায় না। কারণ এই সকল অ্যাপগুলোকে ফোন কোম্পানি
সিস্টেম অ্যাপ হিসাবে তৈরি করে রেখেছে।
প্রথমে আপনার ফোনটি আপনাকে সুন্দরভাবে রুট করে নিতে হবে। আপনি চাইলে কিংরুট
ব্যবহার করে রুট করতে পারবেন যা অনেক একটি সহজ মাধ্যম। কোন ফোন যদি রুট করা না
থাকে তাহলে আপনি সিস্টেম ফোল্ডারে কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারণ সিস্টেম
ফোল্ডার পরিবর্তন করার মূল হাতিয়ার হলো আপনার মোবাইল ফোন। রুট করতে হবে
রুট করা ছাড়া সিস্টেম ফোল্ডার কিছুই পরিবর্তন করা যাবে না যা এক কথায় আমরা বলতে
পারি অসম্ভব।
আপনি লক্ষ্য রাখবেন রুট করার পূর্বে অবশ্যই আপনি ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন। রুট করার
সময় আপনি যদি ব্যাকআপ না নিয়ে রাখেন তাহলে রুট করার সময় ফোন সিস্টেম ফাইল বা
ডাটার সাথে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এবং আপনার যদি কোন ভুল হয় তাহলে
আপনার ফোনের সমস্ত ছবি বা ভিডিও কন্টাক সমস্ত কিছু অ্যাপ ডেটা
সাথে মুছে যেতে পারে যা আপনার জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তার জন্য আপনাকে
রুট করার পূর্বে অবশ্যই ব্যাকআপ নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা আর্টিকেল লেখার সহজ ১২টি নিয়ম
এবং তারপর কনভাটার নামক অ্যাপটি আপনাকে ইন্সটল করতে হবে। কখনো আপনি ভুল করে
সরাসরি সিস্টেম অ্যাপ ইন্সটল করা করবেন না। তাহলে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে
পারে। তার জন্য নিচে দেওয়া অ্যাপসগুলো আপনি ইন্সটল করুন।
- ম্যাজিক্স মডিউল
- সিস্টেম অ্যাপ মুভার
- লাকি প্যাচার
এই অ্যাপ তিনটি হলো সবথেকে জনপ্রিয় । রুট করার জন্য এই অ্যাপ হলো সব থেকে বেশি
জনপ্রিয় এই অ্যাপে সবথেকে বেশি ভালো কাজ হয় এই অ্যাপগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রিয় পাঠক আপনি এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারবেন নির্দ্বিধায়। এ অ্যাপ গুলোতে
সবথেকে বেশি ভালো পারফরম্যান্স এবং সার্ভিস পেয়ে থাকবেন যা বর্তমান হাজারো মানুষ
ব্যবহার করে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপকে সিস্টেম অ্যাপ বানানোর সুবিধা
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপকে সিস্টেম অ্যাপ বানানোর সুবিধা আপনি কি
জানতে চাচ্ছেন বা আপনি কি বিস্তারিত আমাদের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছুক? চলুন
তাহলে আর দেরি না করে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে
বাইরের অ্যাপকে সিস্টেম অ্যাপ বানানোর সব থেকে বড় সুবিধা রয়েছে ৪টি
- অ্যাপটি কখনো মুছে ফেলা যায় না আপনি চাইলেও কোন সময়ের জন্য মুছে ফেলতে পারবেন না এই ধরনের অ্যাপ গুলো ফোনের জন্য অনেক জরুরী এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
- এবং আপনার ফোন চালু হওয়ার সাথে সাথে এই অ্যাপগুলো কাজ করে অটোমেটিক। সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে। এই অ্যাপগুলোতে অটোমেটিকই কাজ করে। নিজেকে কোন কাজ করতে হয় না।
- রুট করার জন্য আপনি আপনার ফোনে কিছু বিশেষ ফিউচার ব্যবহার করতে পারেন। শুধু রুট করার জন্য কিছু বিশেষ ফিউচার ব্যবহার করা যায়।
- রুট করা ফোনগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড অটোমেটিক ভাবে স্থায়ীভাবে চলতে পারে। যা অন্য সাধারণ ফোনগুলো চলতে পারে না।
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ এর সুবিধাগুলো আপনি নিশ্চয়ই
এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আমি আশা করি আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন এ
পর্যন্ত। বাইরের অ্যাপ কে সিস্টেম অ্যাপ বানানো অনেক জরুরী কারণ আমাদের
প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ গুলো সেই অ্যাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। এবং সে
অ্যাপ গুলো ডিলেট করা যায় না চিরস্থায়ীভাবে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ
করে রাখতে পারি।
বাইরের অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ বানানোর অসুবিধা সমূহ
বাইরের অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ বানানোর অসুবিধা সমূহ সিস্টেম অ্যাপ বানাতে হলে
আপনাকে প্রথমে আপনার ফোনে রূট চালু করতে হবে। রূট চালু করার জন্য
আপনার ফোনের ভবিষ্যৎ পুরোটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে আপনি চাইলেও আর
মেরামত করতে পারবেন না। আপনি যদি ফোনে ভুল ভাল সেটিং চালু করেন তাহলে আপনার ফোনটি
হয়তো আর কোনদিন চালু নাও হতে পারে। ভুলভাল সেটিং এর জন্য আপনার ফোনের পূর্বের
সেটিংস পুরোটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আপনার আমার ফোনগুলো সিস্টেম অ্যাপ সাধারণত সীমিত জায়গা বিশিষ্ট। এখানে যদি
আপনি অতিরিক্ত অ্যাপস রাখেন তাহলে ফোনের কাজ করার গতি বা পারফরম্যান্স অনেক
কমে যেতে পারে তাই সাবধান। অনেক সময় সিস্টেম আপডেট ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে
যায়। এতে করে আপনার ফোনে আপডেট হওয়ার থেকে বঞ্চিত হয় এবং আপনার ফোনে
অনেকগুলো সমস্যা থেকে যায় আপডেট না হওয়ার জন্য।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা ব্লগ লিখে টাকা আয় করার নিয়ম
বাইরের অ্যাপ ইন্সটল করা অনেক কঠিন হয়ে যায় একেবারে কোন অ্যাপস সিস্টেম
কোনদিনই আপনি সাধারণভাবে ইন্সটল করতে পারবেন না কারণ এটি থার্ড পার্সন
অ্যাপ। এই অ্যাপটি কোনদিন মুছে যেত পারে কিন্তু রুট করে আবার টিকে ফিরিয়ে
আনা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় যা ফোনের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হতে পারে।
ফোনের জন্য ক্ষতিকারক বিষয়গুলো টেবিলে তুলে ধরা হলো
অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ বানাবেন সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং আপনার ফোনে যে সকল সাধারণ সমস্যাগুলো দেখা
দিতে পারে সেই সমস্যা গুলো আপনাদের সামনে টেবিলে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ইনশাল্লাহ
আপনারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন
| বিষয় | সমস্যা |
|---|---|
| ওয়ারেন্টি ও | বাতিল হয়ে যেতে পারে |
| পারফরম্যান্স ও | অনেক কমে যেতে পারে |
| নিরাপত্তা ও | অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে |
| আপডেট ও | না হওয়ার সম্ভাবনা |
| আনইনস্টল ও | অনেকটা কঠিন হয়ে যেতে পারে |
| ব্যাটারি ও | চার্জ না থাকা সমস্যা হতে পারে |
প্রিয় পাঠক উপরের দেওয়া টেবিলে এ ধরনের সমস্যা অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। তাই অপ্রয়োজনীয় বাইরের অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ বানানো চেষ্টা করবেন না।
খুবই জরুরি প্রয়োজন থাকলে সিস্টেম অ্যাপ বানাতে পারেন তাও অনেক সাবধানে একটু
ভুলের জন্য আপনার ফোনে কতগুলো সমস্যা হতে পারে নিশ্চয় আপনি বুঝতে পারছেন।
শেষ কথা ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস
প্রিয় পাঠক অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে বাইরের অ্যাপ কীভাবে সিস্টেম অ্যাপ
বানাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বাইরের
অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ বানানোর জন্য আপনার ফোনের যে সকল সমস্যাগুলো হবে। এবং আপনার
ফোনে যে সকল সুবিধা গুলো পাবেন সেই সম্পর্কে আশা করি আপনি বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন
আশা করি প্রিয় পাঠক আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বাইরের অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ বানানোর জন্য আপনার কোন আর সমস্যা
না থাকার কথা। কারণ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি প্রিয় পাঠক আপনার সুস্থতা ও
কল্যাণ কামনা করে আজকের আর্টিকেল এখানে সমাপ্ত করছি টেকি বাজার।
টেকি বাজার আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url