আমার বিয়ে কবে হবে

প্রিয় পাঠক আজকে আলোচনার মূল বিষয় আমার বিয়ে কবে হবে। কার সাথে হবে কিভাবে হবে এই ধরনের নানা রকম প্রশ্নের উত্তর আপনি কি বিস্তারিত জানতে আগ্রহী? চলুন তাহলে ইসলাম কি বলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক google আমার বিয়ে কবে হবে আমার বিয়ে কার সাথে হবে এবং বিয়ে হচ্ছে না কেন ।এবং বিয়ে হওয়ার কিছু আমল সম্পর্কে জেনে নিন যেমন ৩ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল ১০ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল ছেলেদের তাড়াতাড়ি আমল।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে  

আমরা সকলেই বিয়ে করতে চাই বিয়ে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । বিয়ে মানুষের জীবনের সুখ এবং শান্তির একটি মাধ্যম তাই আমরা সকলে বিয়ে করতে চাই। আমাদের মাঝে অনেকে আছে তারা জানতে চাই আমার বিয়ে কবে হবে।আমার বিয়ে কার সাথে হবে আমার বিয়ে কত দিনে হবে আমার বিয়ে কিভাবে হবে  ধরনের নানা রকম প্রশ্ন  এই সমস্ত প্রশ্নগুলোর নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আমার বিয়ে কবে হবে এবং কার সাথে হবে এই ধরনের নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে এ ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারন বিয়ে হল ব্যক্তিগত বিষয় মহান আল্লাহ তায়ালা বিয়েকে ফরজ করেছেন নারী ও পুরুষের জন্য বিয়ে হলো ফরজ। কিন্ত বিয়ে কার সাথে হবে কিভাবে হবে কখন হবে এই ধরনের সকল প্রশ্নের উত্তর একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউ জানেন না।  আমরা ছোট বেলায় শুনেছিলাম জন্ম ,মৃত্যু্, বিয়ে কেউ জানে না কখন কার সাথে কি হবে এ সকল বিষয় গুলোর উত্তর একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।

কোন কারণবশত ছেলে বা মেয়ে উভয় যদি  বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু বিয়ে ভেঙে যায় এই ধরনের যদি সমস্যা হয়। তাহলে ছেলের মা অথবা ছেলের বাবাকে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হবে নিশ্চয়ই নিশ্চয় মহান আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী ।এবং দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যায় দোয়া ছাড়া ভাগ্য পরিবর্তন হয় না । এবং উপযুক্ত বয়স হওয়ার পরেও বিয়ে হচ্ছে না এমন যদি কোন মেয়ে থাকে কিংবা ছেলে থাকে তাকে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করার উচিত 

বিয়ে না হওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে হয়তো আপনার বিয়ে করার পর্যাপ্ত পরিমাণ বয়স হয়েছিল কিন্তু আপনি বিয়ে করেননি। পরকীয়ার সাথে লিপ্ত ছিলেন আপনার বিয়ের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন অবস্থায় সমাজের মানুষ কি বলবে এই কথা ভেবে। তার জন্য আপনাকে বিয়ের  উপযুক্ত বয়স হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ করা উচিত বিবাহকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ফরজ করেছেন। এবং বিবাহতে বরকত লুকিয়ে আছে যা অন্য কোথাও আর নাই বিবাহর মাধ্যমে আপনার জীবন সুখী এবং শান্তিময় হতে পারে

যে ছেলেদের বিবাহ হচ্ছে না এবং বিবাহ হতে সমস্যা হচ্ছে তাদের হয়তো উপর দুষ্টু জিন ভর করে আছে। এবং তাদেরকে ঝাড়ফুঁক করা যেতে পারে  কারণ দুষ্টু জিন যদি কোন মানব দেহের উপর ভর করে তাহলে তার বিয়ে হতে অনেক সমস্যা হয়। বারে বারে বিয়ে ভেঙে যায় তাই ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে দুষ্টু জিন শরীর থেকে সরানো যায় তার জন্য অবশ্যই ঝাড়ফুঁক করা অনেক জরুরী।

অনেক দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল

প্রিয় পাঠক আমাদেরকে অনেকে প্রশ্ন করে ভাই বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না।  কি আমল করা যায় ইসলাম শরীয়তে তেমন কোন আমলের কথা উল্লেখ করা নাই।  কিন্তু আপনি ফরজ নামাজ পড়ে কিংবা নফল দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহ সুবহানা তায়ালার কাছে দোয়া করতে পারেন (সূরা ফুরকানের 74 নাম্বার আয়াত পড়ে) যদি এই আমলটি করতে পারেন

নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমতে আপনি অতি দ্রুত বিবাহ করতে পারবেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনার জন্য একজন যোগ্য পাদ্রির ব্যবস্থা করে দিবে কিংবা যোগ্য পাত্রের ব্যবস্থা করে দিবেন।নিশ্চয় আল্লাহ রহমান তাই আপনি প্রতিদিন ফরজ নামাজের পর(সূরা ফুরকানের 74 নম্বর আয়াত) পাঠ করতে পারেন 

এবং বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন আর নফল নামাজের (সূরা ফুরকানের 74 নাম্বার আয়াত) পড়ে দোয়া করতে ভুল করবেন না তাহলে আশা করা যায় নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য যোগ্য পাত্র পাত্রীর ব্যবস্থা করে দিবেন । মনে রাখবেন দুয়ার মাধ্যমে ভাগ্য এবং তকদির পরিবর্তন করা যায় । আপনার ভাগ্যে যেটা লিখা আছে সেটা একমাত্র দুয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়।

১০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

প্রিয় পাঠক আমাদের মধ্যে অনেক ভাই ও বোনেরা আছে যাদের বিয়ে হয় না বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু বিয়ে ভেঙে যায় আবার বিয়ে ঠিক হয় আবার বিয়ে ভেঙে যায় । এরকম সমস্যা যাদের হচ্ছে তাদের জন্য হাদীসে একটি আমল আছে যে আমলটি ১৩৩ বার পাঠ করলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ

মহান আল্লাহ তায়ালার একটি পবিত্র নাম রয়েছে নামটি হল (আল-লাতিফু) এই নামটি কেউ যদি ১৩৩ পাঠ করে ইনশাআল্লাহ হাদিসে রয়েছে তার খাদ্যে বরকত হবে এবং তার সব কাজ সুন্দরভাবে পূর্ণ হবে। যে ব্যক্তি ১৩৩ বার পাঠ করবে এবং পাঠ করার শেষে ইনশাল্লাহ বলবে এবং অভাব দুর্দশা অসুস্থতা একার্থীতা  জীবনের সাথীহীন  হয়ে পড়া বা মেয়েদের জন্য স্বামী পাচ্ছে না এমন হলে পবিত্র ভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া করা(আল-লাতিফু) বলে।

অথবা আপনি আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া করতে পারেন সূরা ফুরকানের ৭৪ নাম্বার আয়াত পড়ে  আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া করা। ইনশাআল্লাহ সে দোয়ার মাধ্যমে আপনার জীবনের দুঃখ কষ্ট নিরাশা  সাথীহীন জীবন দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনার দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

বিয়ের জন্য দ্রুত উপযুক্তির জীবনসঙ্গী পাওয়া বা বিয়ের সম্পূর্ণ হাওয়া এটি এটি আমাদের সকলের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । দ্রুত বিয়ে করার জন্য ইসলামের দৃষ্টিতে দুয়া আমল আল্লাহ তায়ালার উপর তাওয়াককুল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এবং কিভাবে দ্রুত বিয়ে করা যায় এবং দ্রুত বিয়ে করার জন্য ১৫ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।

প্রতিদিন ফরজররর নামাজের পর( ১১ বার সূরা ইয়াসিন পাঠ করা) এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা হে আমার রব আমাকে হালাল পথে উত্তম জীবনসঙ্গী দান করেন।এবং আমাকে হালাল রিজিকের অনুসন্ধান করার তৌফিক দেন ।এবং কোরআন  হাদিস মেনে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করেন আমাকে হালাল জীবনসঙ্গী দান করেন। এবং নফল নামাজ বেশি বেশি করে পড়ার চেষ্টা করা । এবং নফল নামাজের সুরা ইয়াসিন পাঠ করা এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রশংসা করা।
এবং প্রতিদিন ফরজ নামাজ শেষে( ইয়া ওয়াদুদ এ নামটি পাঠ করা প্রতিদিন ১০০বার করে পাঠ) করা এবং আল্লাহর এই নামটি দ্বারা বুঝানো হয় প্রেম মমতা ও সম্পর্কের বন্ধন করে।  তাই অবশ্যই প্রতিদিন ফরজ নামাজ শেষে বা নফল নামাজ শেষে ( ইয়া ওয়াদুদ)  এই নামটি আল্লাহ তায়ালার ১০০ বার পাঠ করা এবং আল্লাহ  কাছে দোয়া করা যে ইয়া রাব্বুল আলামিন আপনি আমাকে উত্তম হালাল জীবনসঙ্গী দান করেন ।ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম হালাল জীবনসঙ্গী দান করবেন।

৩ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আমল

আপনি যদি তিন দিনের মধ্যে বিয়ে করতে চান তাহলে আপনার জন্য নিচে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো আপনি করতে পারেন এ গুরুত্বপূর্ণ আমল করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তিন দিনের মধ্যে উত্তম জীবনসঙ্গী দিয়ে দিতে পারেন আশা করি ইনশাআল্লাহ।

প্রথম দিনঃ
 নামাজের পর সুরা ইয়াসিন পড়ুন 
এবং এই দোয়াটি পড়ুনঃ আল্লাহুম্মা রুযকনি যাওজান সালিহান ইউহিব্বুনি ফিল্লাহ ওয়ুহিব্বুহু ফিল্লাহ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে এমন জীবনসঙ্গী দান করুন, যে তোমার ভালোবাসায় আমাকে ভালোবাসবে এবং আমি তাকেও ভালোবাসব।
এবং রাতে ঘুমানোর আগে
১১ বার ইয়া ওয়াদদু
১১বার ইয়া লতিফু
তারপর মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আপনি মন খুলে দোয়া করুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাকে উত্তম জীবনসঙ্গী দান করবে অনেক দ্রুত।

দ্বিতীয় দিনঃ
ফরজ নামাজের পরঃ (সূরা মারইয়াম এর সর্বনিম্ন পাঁচ আয়াত পাঠ করুন) ৭ বার
এবং নিয়ত করুন হে আল্লাহ এই সূরা মারইয়াম বরকতে আমার বিয়ের রাস্তা সহজ করে দিন এবং আমাকে হালাল উত্তম পরহেজগার দ্বীনদারিতা জীবনসঙ্গী দান করেন।
মাগরিবের নামাজের পরঃ:(৩৩ বার পড়ন) লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইননি কুনতু মিনাজ্জলিমিন।
এই দোয়াকে ইউনুস (আঃ) এর দোয়া কে বলা হয় হযরত ইউনুস (আঃ) যখন বিপদে পড়েছিলেন তখন এই দোয়া পাঠ করেছিলেন এই দুয়ার মাধ্যমে হযরত ইউনুস আলাইহিস সাল্লাম বিপদ থেকে আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছিলেন। এই দোয়া বিপদ মুক্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকারী তাই আমরা সকলে মাগরিবের পর ৩৩ বার করে পাঠ করবো যাদের বিয়ে তিন দিনের মধ্যে হওয়া দরকার।

তৃতীয় দিনঃ
শুক্রবারের বিশেষ আমল
গোসল করে পরিষ্কার পোশাক পড়ুন
একবার সুরা ইয়াসিন পাঠ করুন
তারপর দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন
 হে আল্লাহ যদি আমার জন্য কোন উত্তম জীবনসঙ্গী নির্ধারণ নির্ধারিত থাকে তবে তাকে আমার জীবনে এখন সহজভাবে আনুন
এবং রাতে ঘুমানোর আগেঃ(১০০ ইয়া ফাত্তাহু পাঠ ক্রুন) এই নামের অর্থ হে সেই সত্তা যিনি সব দরজা খুলে দেন
বিশেষ দোয়া মাগরিবের ফরজ নামাজের পর পাঠ করুনঃ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা যাব্বিজনী যাওজান সালিহান, ওয়াজআল বাইনানা আল-মাওয়াদ্দাতা ওয়ার রাহমাহ।
বাংলা অর্থঃহে আল্লাহ! আমাকে নেক জীবনসঙ্গী দান করুন এবং আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া স্থাপন করুন।

বিশ্বাস রাখুন৩ দিনের মধ্যে আপনার বিয়ে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনি যদি নিয়মিত আমল গুলো করেন ইনশাআল্লাহ আপনার দ্রুত বিবাহ হয়ে যাবে আপনার বিয়ের কোন বাধা থাকবে না দ্রুত আপনার পরিবারের শান্তি আসবে

বিয়ে না হলে কি করা উচিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের বিয়ে হচ্ছে না তাদের কি করা উচিত সে সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে আপনি কি ইচ্ছুক তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক । বিবাহ কার সাথে হবে কিভাবে হবে এ বিষয়গুলো একমাত্র আল্লাহ তা'আলা তিনি জানেন।  তাই আপনি চিন্তা না করে মহান আল্লাহ  উপর ভরসা রাখুন নিশ্চয়ই  আপনার জন্য উত্তম জীবনসঙ্গী রেখেছেন।

আপনি হয়তো যেটা পরিকল্পনা করছেন সেটা হয়তো সঠিক নয়। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী আমাদের জন্য যেটা ভালো হয় নিশ্চয়ই আল্লাহ রব্বুল আলামীন সেই পরিকল্পনাই করেন (সূরা আল ইমরান ৩ থেকে ৫৪নাম্বার আয়াত) বিবাহের জন্য (সূরা মারিয়াম) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং (সূরা ইয়াসিন) আপনার সকল বাধা বিপদ থেকে হেফাজত করে (সুরা ইয়াসিন )তাই  পড়ে আপনার বিয়ের বাধা দূর হয়ে যাবে ।

নিজেকে ইতিবাচক করে তুলুন বিয়ের আগে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনুন প্রতিদিন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। হালাল রিজিকের অনুসন্ধান করুন বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করুন। নামাজে মনোযোগী হন গুনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন হালাল রিজিক ভক্ষণ করুন । ফকির মিসকিনের খাবারের ব্যবস্থা করে দিন দান সদকা করুন মানুষের সাথে ভালো উত্তম ব্যবহার করুন।

এবং ধৈর্য ধরুন নিজেকে ধৈর্যধারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। ধৈর্যের মাধ্যমে জীবনের সফলতা আসে আপনার হয়তো বিবাহ হতে দেরি হচ্ছে কিন্তু   দের হওয়ার জন্য আপনার জীবনের কল্যাণ রয়েছে এজন্য হয়তো আল্লাহ তায়ালা  আপনার ধৈর্য পরীক্ষা করছেন। আপনার ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আপনার জীবনে দ্বীনদার নেককার পরহেজগার জীবনসঙ্গী দান করবেন। তাই ধৈর্য হারা হবেন না ধৈর্যধারীদের সাথে আল্লাহ তায়ালা থাকেন।

আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে

আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে আমার বিয়ে কিভাবে হবে আমার বিয়ে কয়দিনে হবে কত দিনে হবে এই ধরনের নানা ধরনের প্রশ্ন অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকে কিন্তু  এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউ জানেন না। কারণ আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি জন্ম মৃত্যু বিয়ে একমাত্র আল্লাহ তাআলারই হাতে তাই আপনি। যদি কাউকে পছন্দ করেন আপনি যদি চান  ওই মেয়েটা আমার জীবনসঙ্গী হোক বা ওই ছেলেটা আমার জীবন সঙ্গী হোক তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালা কাছে দোয়া করতে পারেন।

আপনি ফরজ নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার কাছে বলতে পারেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনি তো সবই পারেন। আপনি তো সকল ক্ষমতার মালিক আপনার কাছে তো কোন কিছুর কমতি নাই রাব্বুল আলামীন ওই মেয়েটা আমার অনেক ভালো লাগে ওই মেয়েটাকে আমি পছন্দ করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনি ওই মেয়েটাকে আমার জীবনসঙ্গী বানাইয়া দেন। আপনি এভাবে আল্লাহ তায়ালা কাছে দোয়া করতে পারেন।

কিংবা আপনি বলতে পারেন ইয়া আল্লাহ রব্বুল আলামিন আপনি তো সকল ক্ষমতার মালিক। আপনার হাতে সারা পৃথিবী আপনি আমার একমাত্র রব । আল্লাহ রব্বুল আলামিন ওই ছেলেটাকে আমি অনেক পছন্দ করি ছেলেটা  দিনদার নামাজী পরহেজগার আল্লাহ রব্বুল আলামীন ওই ছেলেটাকে আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে চাই।

 আপনি আমাকে ছেলেটা জীবনসঙ্গী হওয়ার তৌফিক দান করেন। ওই ছেলেটাকে বিয়ে করে আমার জীবন যদি কল্যাণময় হয়। আমি যদি এহকালে শান্তি পরকালে মুক্তি পায়  আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনি তাহলে ওই ছেলেটাকে আমার জন্য সহজ করে দেন।

এমন যদি হয় তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে ফরজ নামাজে এবং নফল নামাজের শেষে দোয়া করতে পারেন। আল্লাহ আপনি আমার মনের নেক আশাগুলো কবুল করে  আমি অনেক বড় গুনাগার পাপী আপনি আমার জীবনের নেক আশা গুলো কবুল করেন । এবং আমাকে গুনাহের পথ থেকে ইসলামের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন । এবং গরিব দুঃখী মানুষকে দান করা এতিমকে খাবার ব্যবস্থা করে দেন।  হালাল রিজিকের অনুসন্ধান করা এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা।

বিবাহ কেন করবেন জেনে নিন

বিবাহ কেন করবেন বিবাহ করলে কি হয় এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত চলুন নিচে আলোচনা করা যাক বিবাহ শুধু দুটি মানুষের সম্পর্ক নয়। বিবাহের মধ্যে রয়েছে রহমত শান্তি বরকত মানুষ সুখ শান্তি শারীরিক শান্তি বিবাহের মাধ্যমে আপনার জীবন হবে পরিবর্তন। মহান আল্লাহ তায়ালা বিবাহকে ফরজ করেছেন উপযুক্ত বয়স হলে বিবাহ করে নেওয়া উচিত।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা বলেন পবিত্র কুরআনুল কারীমে তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত আছে তাদের বিবাহিত করাও (সুরা নূর ২৪ থেকে ৩২) এবং বিবাহ করা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাহ যে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। সে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর  উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (বুখারী -ও মুসলিম)

বিবাহর বিবাহর মধ্যে মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় এবং বিবাহ অস্থিলতা যে না এই ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকা যায় । ইসলামী বিবাহকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়ে গেলে আপনি বিবাহ করতে বাধ্য বিবাহ আপনাকে করতে হবে। কারন অন্যায় পাপ যেনা অবিচার থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিবাহ আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। বিবাহের মাধ্যমে আপনি সন্তান লাভ করতে পারবেন এবং আপনার মৃত্যুর পর আপনার সন্তান আপনার জন্য দোয়া করবে ।

সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য এক বিশেষ নিয়ামত । আপনার সন্তান আপনার বংশ বৃদ্ধি করবে আপনার সন্তানের মাধ্যমে আপনার শেষ জীবনে আপনি শান্তি পাবেন। এবং বিয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে পাবেন। আপনার জীবন সঙ্গীর মাধ্যমে আপনার জীবনের কষ্ট দুজনে ভাগাভাগি করতে পারবেন। আপনার জীবন সুখময় এবং শান্তিময় হবে শুধুমাত্র বিবাহ মাধ্যমে
তাই মহান আল্লাহ তায়ালা বিয়েকে ফরজ করেছেন। বিয়ে রসুলের সুন্নাহ আমাদের উপযুক্ত বয়স হয়ে গেলে বিবাহ করা উচিত
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গেছেন বিবাহর বয়স হয়ে গেলে আমাদের বিবাহ করা কেন উচিত। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত থেকে যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল সে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই আমাদের বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়ে গেলে বিবাহ করে নিতে হবে ।এবং রসুলের সুন্নাহ ধরে রাখতে হবে বিবাহের মাধ্যমে আমাদের  ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃষ্টি হবে।

বিবাহ না করলে কি হয় চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিন

আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা বিয়ে করতে চায় না। তারা বিয়ে না করে এদিক ওদিক করে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই তাদের জন্য ইসলাম কি বলে চলুন নিচে একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মহান আল্লাহ তায়ালা বিবাহকে ফরজ করেছেন প্রথমে তো মহান আল্লাহ তায়ালা আদেশ অমান্য করলো এবং যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ অমান্য করবে তার জীবনের সুখ শান্তি তৃপ্তি বলে কিছু থাকবে বলে মনে হয় না। এবং আল্লাহ তায়ালা আদেশ অমান্য করলে তার স্থান হবে জাহান্নামে । কারণ আল্লাহ তায়ালা বিবাহকে ফরজ করেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা বলেন বিবাহের মধ্যে বরকত রয়েছে আমি আল্লাহ তায়ালা বিবাহের মধ্যে বরকত রেখেছি।

এবং প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাহ থেকে যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল সে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। আপনি যদি বিবাহ না করেন তাহলে তো আপনি রসুলের সুন্নাহ ছেড়ে দিলেন আর রাসূলের সুন্নত ছেড়ে দিলে আপনি রসুলের উম্মত এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তাহলে আপনার স্থান জান্নাত না জাহান্নাম আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সহি হাদিসে রয়েছে (যেমন বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ) তাই বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়ে গেলে বিবাহ করে নেওয়া উচিত। 

আপনি যদি বিবাহ না করেন আপনার যে সমস্যাটি হবে আপনার কোন সন্তান থাকবে না আপনি মারা যাওয়ার পূর্বে বা পরে আপনার জন্য কেউ দোয়া করবে না। এবংআপনি যদি বিবাহ না করেন ভবিষ্যৎ প্রয়োজন বিপদে পড়বে তাই আপনাকে বিবাহ করা উচিত । আপনি যদি বিবাহ না করেন আরো একটি বড় সমস্যাতে পড়বেন ।  শেষ বয়সে আপনাকে দেখার মত আর কেউ থাকবে না আপনার শেষ বয়সে অনেক কষ্টে দিনকাল কাটবে। কারণ আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না।

আপনি যদি বিবাহ না করেন তাহলে আপনার চরিত্র এবং আপনার ক্যারেক্টার আপনি ধরে রাখতে পারবেন না।  আপনার চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে সমাজের মানুষের কাছে আপনি কলঙ্কিত হবেন ।সমাজের মানুষ আপনাকে মূল্যায়ন করবে না আপনার জীবনে শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতা তৈরি হবে। শেষ বয়সে আপনার পাশে আপনি কাউকে পাবেন না আপনার একাকীত্ব জীবন অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।

অল্প বয়সে ছেলে মেয়েদের বিবাহের আমল

বর্তমান সময়ে আমাদের মাঝে অনেকে আছে অল্প বয়সে বিবাহ করতে চাই কিন্তু অল্প বয়সে বিবাহ থাকতে পারছে না। কারন পারিবারিক সমস্যার জন্য বিবাহ করতে পারছে না তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে চলুন সে গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ

পিতা মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করা পিতা মাতার সাথে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক রাখা পিতা-মাতার সাথে কখনো কষ্ট দিয়ে কথা না বলা। পিতা-মাতার সন্তুষ্টি অর্জন করা। এবং নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া করা আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাকে বিবাহ করার উপযুক্ত পাত্রী দান করেন এবং আমাকে ধৈর্য দান করেন। এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে প্রতিদিন দোয়া করা যে রাব্বুল আলামিন আমার দ্রুত বিবাহ আপনি ব্যবস্থা করে দেন আপনি নিশ্চয়ই উত্তম পরিকল্পনাকারী।

চক্ষু ও অন্তর সংযম রাখা পাপাচার জেনা থেকে নিজেকে হেফাজত করা। এবং পবিত্রতা থাকা পবিত্রতা অর্জন করা পবিত্র অবস্থায় থাকা গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো এতিম মিসকিনদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া। হালাল রিজিক খাওয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া নফল নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। শুক্রবারের দিন সবার আগে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করা 

এবং( সূরা নাস ,সুরা ফালাকসুরা , ইখলাস ,এবং সূরা ইয়াসিন )প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর পাঠ করা এবং মাগরিবের নামাজের পর পাঠ করা। ফজরের নামাজের পর দুই হাত তুলে এই সূরা গুলি পড়ে দোয়া করা। এবং মাগরিবের নামাজের দুই হাত তুলে এই সূরা গুলি পড়ে দোয়া করা। আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখলে ইনশাআল্লাহ অল্প বয়সে বিবাহ হয়ে যাবে। এই আমল গুলো করলে আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনার বিবাহের উপযুক্ত পাত্রীর ব্যবস্থা করবেন

শেষ কথা বা উপসংহার

প্রিয় পাঠক আমার বিয়ে কবে হবে এবং কিভাবে হবে আমার বিয়ে হয় না কেন। বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে কেন বিয়ে না করলে কি হয়। এবং দ্রুত কিভাবে বিবাহ করা যায় এবং দ্রুত বিবাহ করার  আমল  সমস্ত বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং পুরো আর্টিকেলে  আমার বিয়ে কবে হবে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে করেছেন ।

আমার বিয়ে কবে হবে বিবাহের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ইসলামিক কিভাবে বিবাহ করতে হবে। ইসলামে বিবাহ করার উপযুক্ত বয়স হলে কি করতে হবে।  বিবাহ করলে কি হয় এ ধরনের বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আপনার সুস্থতা ও কল্যাণ কামনা করে আজকের পোস্ট এখানে ইতি টানছি আপনার সুস্থতা কামনা করে টেকি বাজার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকি বাজার আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Touhid Islalm
Md. Touhid Islalm
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও অর্ডিনারি আইটির সিনিয়র সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।