জানাজার নামাজের পদ্ধতি ও ফজিলত
শ্রদ্ধেয় পাঠক জানাজার নামাজের পদ্ধতি ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি কি? ইচ্ছুক। আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এ পোষ্টের মধ্যে জানাজার নামাজের নিয়ম ও ফজিলত বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একটি মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি মুসলমানের জানা অত্যন্ত জরুরি।
এই পোষ্টের মধ্যে থাকছে একজন মৃত ব্যক্তির কিভাবে তার জানাযা পড়া হবে। জানাজার সম্পূর্ণ নিয়ম এবং জানাজা পড়ে কি পরিমান নেকি পাওয়া যাবে অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের কি পরিমান নেকি দিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
পোস্ট সূচীপত্রঃ জানাজার নামাজের পদ্ধতি ও ফজিলত
- জানাজার নামাজের ভূমিকা
- জানাজার নামাজ ৪ তাকবীরে শহীদ পড়ার সম্পূর্ণ নিয়ম
- প্রথম তাকবীর
- দ্বিতীয় তাকবীর
- তৃতীয় তাকবীর
- চতুর্থ তাকবীর
- শেষ কথা গুরুত্বপূর্ণ টিপস
জানাজার নামাজের ভূমিকা
জানাজার নামাজ ৪,৫,৭,৯ তাকবীরে পড়ার বিধানে রয়েছে কিন্তু আমাদের দেখতে হবে
কোনগুলো সহি হাদিসে রয়েছে ।এবং সহি হাদিসের উপর আমাদের আমল করতে হবে ।দেখতে হবে
কোন হাদিস গুলো বেশি সহি যেমন বুখারী আবু দাউদ ,তিরমিজি ইবনে মাজা, মুসলিম শরীফ
পাওয়া যায় চার তাকবীরের শহিদ নামাজ পড়ার জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
হাদিস গুলোতে পাওয়া যায় আমরা সবাই ৪ তাকবীরে জানাযার সালাত আদায় করব
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি ৪ তাকবীরের জানাজার সালাত আদায় করতেন। সহীহ হাদিস পাওয়া যায় যেমন বুখারী আবু দাউদ তিরমিজি রয়েছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ৪ তাকবীরের জানাযার জানাজা সালাত আদায় করতে বলেছেন তাই আমাদের উচিত হবে ৪ তাকবীরের জানাযার সালাত আদায় করা
জানাজার নামাজ ৪ তাকবীরে শহীদ পড়ার সম্পূর্ণ নিয়ম
প্রথম তাকবীরঃ জানাজান নামাজের দাঁড়ানোর পূর্বে অবশ্যই অজু করে নিতে হবে। এবং তারপর জানাযার সালা্তের আদায় করার জন্য মনে মনে নিয়ত করে ফেলতে হবে। সহি হাদিসে পাওয়া যায় না জানাযার নামাজের নিয়ত করার জন্য আলাদাভাবে কোন দোয়া করতে হবে । কিন্তু অনেক দুর্বল হাদিসে পাওয়া যায় নিয়াদের দোয়া পড়তে হয় কিন্তু সহি হাদিসে পাওয়া যায় না ।
প্রথম তাকবীরঃ
আল্লাহু আকবার বলে জানাজার সালাত শুরু করতে হবে এবং বাম হাতের উপর ডান হাত রাখতে হবে। ইমামের পিছনে সকল মুসল্লিরা ইমামের সাথে আস্তে আস্তে সুরা ফাতেহা এবং সূরা ইখলাস পড়তে হব
সুরা ফাতেহা ফজিলতঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা তেলাওয়াত করবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে নুর দান করবেন। এবং তার বিপদ মুসিবত যে কোন অবস্থায় সূরা ফাতিহা পাঠ করলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে সাহায্য করবেন। সহি বুখারি হাদিসে পাওয়া যায় সুরা ফাতেহা বিশ্বাসের সাথে পাঠ করলে এবং কাউকে যদি সাপে কাটে আর সুরা ফাতেহা পড়ে যদি ফু দেয় তাহলে সাপের বিষ পানি হয়ে যাবে
দ্বিতীয় তাকবীরঃ
আল্লাহু আকবার বলে প্রথম তাকবীরের মত ইমাম সাথে সবাই আস্তে আস্তে করে দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে তাহলে দ্বিতীয় তাকবীর শেষ হয়ে যাবে।
দুরুদ শরীফ ফজিলতঃ হাদীস শরীফে পাওয়া যায় কোন ব্যক্তি যদি দুরুদ শরীফ ১ বার পাঠ করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন। দরুদ শরীফ আমাদের জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। হাদিসে এসেছে কোন ব্যক্তি যদি সারাদিনে ১০ বার দরুদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার জন্য ১০০ টি রহমত নাযিল করেন শ্রদ্ধেয় পাঠক আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করার।
তৃতীয় তাকবীরঃ
চতুর্থ তাকবীর
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু বলে জানাজার নামাজ শেষ
করবে
জানাযার দোয়া ফজিলতঃ হে আল্লাহ তায়ালা বলেন কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যক্তির জানাজা সালাতে শরিক হয় তাকে এক ওহুদ পাহাড় নেকি দেওয়া হয়।এবং সেই ব্যক্তিকে দাফন কাফন করা পর্যন্ত থাকে তাহলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে আরো এক ওহুদ পাহাড় নেকি দান করেন । এ কথায় বুঝা যায় কোন ব্যক্তি যদি জানাযার সালাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকে তাহলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে দান করেন দুই ওহুদ পাহাড় নেকি দান করেন
.webp)

.webp)
টেকি বাজার আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url